অটোস্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজনকে কুপিয়ে হত্যা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২২ জুন ২০২৫, ১০:২২ এএম
অটোস্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজনকে কুপিয়ে হত্যা

আধিপত্য বিস্তার ও বন্দর অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধের জেরে আবদুল কুদ্দুস (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির স্বজন ও এলাকাবাসী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

শনিবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শাহী মসজিদ হাফেজিবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত কুদ্দুস বন্দরের শাহী মসজিদ হাফেজিবাগ এলাকার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তার ও বন্দর অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন যাবৎ স্থানীয় বিএনপির সমর্থক বাবু-মেহেদি এবং রনি-জাফর পক্ষের মধ্যে বিরোধ ও সংঘর্ষ চলছিল। গত শুক্রবার দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে সংঘর্ষ জড়ায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রনি-জাফর পক্ষের পারভেজের বাবা আবদুল কুদ্দুস চা পান করতে বন্দর স্ট্যান্ডে যান। এ সময় তাকে চায়ের দোকান ডেকে নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে জখম করেন। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার কর্মী ও রনি-জাফর গ্রুপের নেতা জাফর বলেন, “বাবু-মেহেদী গ্রুপ আশার নাম ভাঙিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। আমি এর প্রতিবাদ করায় হান্নান সরকারের নির্দেশে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমাকে না পেয়ে আমাদের পক্ষের অনুসারী পারভেজের বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তারা।”

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা হান্নান সরকার বলেন, “কে-বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে আমি এর সঙ্গে জড়িত নই। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।”

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, হান্নান সরকারের লোকজন আব্দুল কুদ্দুসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, “পূর্ববিরোধের জেরে কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। স্বজনেরা নিহত ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিলে রাত ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”