ঈদযাত্রায় ভাঙ্গা-চোরা মহাসড়কে ভোগান্তি, ডাকাতির আশঙ্কা


ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের কারণে এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ।
খানাখন্দের কারণে ওই সড়কে চলাচলকারী যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। আবার ধীরগতির কারণে যাত্রীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। পাশাপাশি, রাতের বেলায় ছিনতাই ও ডাকাতির আশঙ্কাও বাড়ছে।
এই সড়ক ব্যবহারকারী চালক ও সংশ্লিষ্টরা জানান, খানাখন্দের কারণে প্রায়শই যানবাহনের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সড়কটির এমন অবস্থা হয়েছে যে, গতি সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত তোলা সম্ভব। এতে সময় যেমন বেশি লাগছে, তেমনি নিরাপত্তার ঝুঁকিও বাড়ছে।
তারা আরও জানান, বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে এই অংশটি খানাখন্দে ভরে গেছে। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে এসব খানাখন্দ আরও বেড়েছে। এতে ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এদিকে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির প্রতি উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন সড়ক ব্যবহারকারীরা।
ঢাকাগামী এক মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাত্রী আনতে, কিন্তু ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা, তাতে গাড়ির গতিসীমা সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার পার হচ্ছে না। মহাসড়কের গতি যদি এমন হয়, তাহলে ডাকাতিসহ নানা ঝামেলার আশঙ্কা থেকেই যায়।’
এদিকে, যানবাহন বিকল হওয়া ও ধীরগতির কারণে ঈদযাত্রায় যাত্রীরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। এছাড়া রাতে ধীরগতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির আশঙ্কাও করছেন তারা। তাদের দাবি, সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল জানান, ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কোনো সমস্যা বা সন্দেহ দেখা দিলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
এদিকে, ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানান, আপাতত যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক রাখতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।