চুয়েটের হল থেকে ছাত্রলীগের ১৮ জনকে বহিষ্কার

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
চুয়েটের হল থেকে ছাত্রলীগের ১৮ জনকে বহিষ্কার

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আবাসিক হল থেকে ছাত্রলীগের ১৮ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে আরও তিনজনকে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চুয়েট স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্র কল্যাণ অধিদফতর পরিচালক স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশে বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর বিষয়টি জানানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এবং এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী এবং জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে এই ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে ছাত্রলীগ নেতা ও পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক শাফকাত আর রুম্মান এবং চুয়েট প্রশাসনের সংস্কারের দাবিতে চুয়েট উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে বৈঠকে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শাস্তি পাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ৮ জন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, সাত জন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ছয় জন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন।

কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া তিন শিক্ষার্থী হলেন- চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব উদ্দিন চৌধুরী, মেকাট্রনিকস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন ও পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি চিন্ময় কুমার দেবনাথ।

আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ১৮ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হলেন- চুয়েট নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের আব্দুর রহমান জিহান, একই বিভাগের ইমাম হোসেন, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তাহসিন ইশতিয়াক ইফতি, যন্ত্রকৌশল বিভাগের আশিকুল ইসলাম, মেকাট্রনিকস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের মইনুল হক, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আজহারুল ইসলাম মুন্না, একই বিভাগের সাদিকুজ্জামান, সাদিকুজ্জামান, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের ইরফানুল করিম তোহা, একই বিভাগের রিফাত হোসাইন, তালহা জোবায়ের, পুরকৌশল বিভাগের মাহামুদুল হাসান জাহিদ, যন্ত্রকৌশল বিভাগের সৌমিক জয়, একই বিভাগের তানভীর জনি, তোফাইয়া রাব্বী, ইউসুফ আব্দুল্লাহ রনি, মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান, পুরকৌশল বিভাগের ইফতেকার সাজিদ সম্রাট।

এ প্রসঙ্গে চুয়েট ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ও অভিযোগকারীদের সাক্ষাৎকার শেষে স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটি সভায় তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে ন্যূনতম এ শাস্তি দিয়েছে।”

এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়েট শাখার সমন্বয়ক মাহাফুজার রহমান মোহাব্বত বলেন, “দেশের বুয়েট, কুয়েটসহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বিচার করলেও এতদিন চুয়েট প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের নেতাদের বহিষ্কার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মদপানে অভিযুক্ত পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক শাফকাত আর রুম্মানের বিচারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করি। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন তাদের এ শাস্তি দিয়েছে।”