সন্তান জন্মদানের সময় মারা গেলে শহীদের মর্যাদা
সন্তান প্রসবের কারণে কোনো নারী মারা গেলে সে শহীদের মর্যাদা লাভ করবে। সন্তান প্রসবের সময় মারা যাওয়াসহ আরও কিছু রোগে বা দুর্ঘটনায় কষ্ট পেয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা শহীদের মর্যাদা লাভ করবে বলে ঘোষণা করেছেন রাসুল (সা.)।
জাবের ইবনে আতিক (রা.) আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর পথে জিহাদে নিহত হওয়া ছাড়া আরও সাত ব্যক্তি শহীদের মর্যাদা লাভ করে। তারা হলো:
১. প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে যে মারা যায়
২. পানিতে ডুবে যে মারা যায়
৩. প্লুরিসি রোগে আক্রান্ত হয়ে যে মারা যায়
৪. পেটের রোগে যে মারা যায়
৫. আগুনে পুড়ে যে মারা যায়
৬. কোনো কিছু চাপা পড়ে যে মারা যায়
৭. যে নারী সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায়। (সুনানে আবু দাউদ: ৩১১৩)
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শহীদ হল পাঁচ ব্যক্তি; প্লেগরোগে মৃত, পেটের রোগে মৃত, পানিতে ডুবে মৃত, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত এবং আল্লাহর পথে লড়াই করে নিহত ব্যক্তি। (সহিহ মুসলিম: ৫০৪৯)
সাঈদ বিন যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় সে শহীদ, যে নিজের পরিবার রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় সে শহীদ, যে তার নিজের প্রাণ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় সে শহীদ এবং যে নিজের দীন রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় সেও শহীদ। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৭৭৪)
শহীদের মর্যাদা পাওয়ার কারণ
এসব রোগ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে শহিদের মর্যাদা পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ইবনুত তীন (রহ.) বলেন, এগুলো অনেক কষ্টের মৃত্যু। আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মদির ওপর অনুগ্রহ করে এগুলোকে তাদের জন্য গুনাহ মাফ ও সওয়াব বৃদ্ধির মাধ্যম বনিয়েছেন এবং এ কারণেই আল্লাহ তাআলা তাদেরকে শহীদের মর্যাদায় উন্নীত করবেন। (ফাতহুল বারী: ৬/৫২)
ইসলামের জন্য রক্তদানকারী শহীদের সঙ্গে এভাবে শহীদের মর্যাদা লাভকারীদের পার্থক্য হলো দুনিয়াতে তাদের গোসল ও জানাজা সবই হবে। শহীদদের মতো তাদেরকে গোসল ছাড়া সমাহিত করা হবে না।