কনস্টেবলকে চড়-থাপ্পড়, বিএনপি নেতার নামে মামলা


সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশাচালককে সরে যেতে বলায় পুলিশ কনস্টেবলকে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় মারার ঘটনায় নওগাঁ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রহমান রিপনের নামে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ভুক্তভোগী কনস্টেবল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম আমিনুল ইসলাম। তিনি সদর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী।
এর আগে সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের মুক্তির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগীকে চড়-থাপ্পড় মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকেই মুক্তির মোড় এলাকায় ট্রাফিকের ডিউটিতে ছিলেন কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই সড়ক হয়ে একটি মিছিল যাচ্ছিল জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ওই মুহূর্তে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে সেখানে নামেন মামুনুর রহমান রিপন। এতে যানজট সৃষ্টি হলে রিকশাটিকে সেখান থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেন কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করার পাশাপাশি ওই কনস্টেবলকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মামুনুর রহমানসহ তার সঙ্গে থাকা ৭–৮ যুবক। পাশাপাশি ‘আওয়ামী দোসর’ ট্যাগ দিয়ে কনস্টেবল আমিনুল ইসলামকে নওগাঁ ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম বলেন, রিকশাটিকে সরে যেতে বলায় মামুনুর রহমান অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমার দুই গালে কয়েকবার চড়-থাপ্পড় দিয়ে বাড়ি কোথায় জানতে চান। ঘটনার ভিডিও মামলার এজাহারের সঙ্গে সংযুক্ত করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মামুনুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কনস্টেবল বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ বলেন, মামুনুর রহমান রিপন জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।