২০ জানুয়ারি চীন সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চীন সফরে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অনেক বিষয়ে আলোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চীন থেকে নেয়া বিভিন্ন দিনের সুদ কমানো ও মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলবো। কোটা সুবিধা বজায় রাখার বিষয়ে আলাপ রাখবো। বাজেট সহায়তা নিয়েও কথা হবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করবো।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের যে চুক্তি চিনের সঙ্গে হয়েছিল তা বহাল রাখার বিষয়ে আলোচনার কথাও জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘কমিটমেন্ট ফি বাদ দিতে কথা বলবো। চীন থেকে নেয়া বিভিন্ন ঋণের মেয়াদ ৩০ বছর পর্যন্ত করা নিয়ে আলোচনা করবো। আন্তঃনদী বিষয়ক চীনের সঙ্গে যে চুক্তি ছিল তা শেষ, কাজেই চুক্তি নবায়ন করা হবে।’
চীন, ইন্ডিয়া ও আমেরিকার সহ সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সরকার কেন্দ্রিক নয় উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘কাজেই দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে এগিয়ে নেয়া হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিন থাকবে এমন পরিকল্পনা নেই জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে কাজ করতে চীনের আগ্রহের বিষয়েও আলোচনা হবে। দেশটির সঙ্গে ভৌগলিক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে। তবে মিয়ানমারের ভেতরকার অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সহজ হবে না। এ বিষয়েও কথা হবে।’
বাংলাদেশের সীমানায় ভারতের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে আপত্তি রয়েছে জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘কারণ, তা আমাদের বোধগম্যতার সঙ্গে মিলছে না। সীমান্তে জিরো লাইন থেকে দেড়শ গজ দূরে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে এটি আন্তর্জাতিক আইন।’