বিশ্বব্যাপী আলোচিত এবং সমাদৃত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার 'থ্রি-জিরো তত্ত্ব' এবং 'সামাজিক ব্যবসায়': আসিফ মাহমুদ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
বিশ্বব্যাপী আলোচিত এবং সমাদৃত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার 'থ্রি-জিরো তত্ত্ব' এবং 'সামাজিক ব্যবসায়': আসিফ মাহমুদ
ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, বিশ্বব্যাপী আলোচিত এবং সমাদৃত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার 'থ্রি-জিরো তত্ত্ব' এবং 'সামাজিক ব্যবসায়' ধারণাটি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে সমবায় অধিদপ্তর।

আজ (রবিবার) ঢাকায় সমবায় অধিদপ্তর পরিদর্শন এবং পায়রা সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায়  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী গৃহীত 'থ্রি জিরো তত্ত্ব' একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি যার ভিত্তি হচ্ছে শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নি:সরণ। 'থ্রি-জিরো তত্ত্ব' এবং 'সামাজিক ব্যবসায়' ধারণাটি বাস্তবায়নে কাজ করতে সমবায় অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ প্রদান করেন। 

উপদেষ্টা বলেন, সমবায় অধিদপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম এবং পারফরম্যান্স নিম্নমুখী বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু তা ঊর্ধ্বমুখী করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সমবায় আইন সংশোধন এবং যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্যপদ পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা। 

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সমবায় অধিদপ্তরের সদস্যদের নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে পাইলটিং প্রকল্প গ্রহণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা প্রদান করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।এছাড়াও দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন এবং সুষম সম্পদের বণ্টনের জন্য সমবায় অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

মতবিনিময় সভার শুরুতে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে সমবায় কার্যক্রম সম্পর্কে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন করেন যুগ্ম নিবন্ধক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের  সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মোঃ মোখলেছুর রহমান। সভায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।