লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ঠান্ডায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ঠান্ডায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ঠান্ডায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

জেলায় একটানা ঘন কুয়াশা, হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডায় জুবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না, রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত কুয়াশা পড়ায় কাহিল বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ মানুষ।

আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডায় কালিগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী ছাউনিতে গতকাল রাতে ঘুমন্ত অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু নিশ্চিত করেন তুষভান্ডার রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার মো. নিজাম উদ্দিন। তিনি জানান, মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  

কালিগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক জানান, যেহেতু অজ্ঞাত মৃত ব্যক্তির পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি, তাই স্থানীয় ও ইউপি সদস্যর সহযোগিতায় আজ কবরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তীব্র শীতের হাটবাজারে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে। কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে জেলার বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

অপরদিকে, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে গ্রামের শ্রমজীবী মানুষজন বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা কাবু হয়েছে বেশি। শীত নিবারণে অনেকেই খড়কুটা জ্বালিয়ে খানিকটা উষ্ণতা অনুভব করার চেষ্টা করছে। তবে শীতের কাপড়ের দাম বেশি হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন অনেকে।রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঠান্ডা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে, জেলার সদর হাসপাতালসহ ৪ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশী।

বিগত বছরের তুলনায় এ বছর শীতের পোশাক বিতরণের তৎপরতা অনেক কম বলে অভিযোগ করেছেন শীতার্ত দরিদ্রা।

জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, ঠান্ডার কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে আমাদের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে।