অভিযোগ-জিডি হলে এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে যেতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
অভিযোগ-জিডি হলে এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে যেতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, থানায় কোনো অভিযোগ বা জিডি হলে পুলিশকে এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে যেতে হবে এবং প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে হবে।

আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নভেম্বরের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'থানায় কোনো অভিযোগ বা জিডি হলে পুলিশকে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নিতে হবে, এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে যেতে হবে এবং প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে হবে। প্রয়োজনে মামলা রুজু করতে হবে।'

'যেকোনো ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিলে পুলিশ সম্পর্কে জনগণের মাঝে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে,' বলেন তিনি।  

'জুলাই-আগস্টে পুলিশের ভূমিকার জন্য সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে' মন্তব্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ অবস্থায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশ হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, মানুষের কাছে যাওয়া এবং তাদের কথা শোনা। একইসঙ্গে নাগরিকদের বলা যে, আমরা তাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই।'

তিনি বলেন, 'বিশ্বায়নের এই যুগে পুলিশবিহীন সমাজব্যবস্থা চিন্তা করা যায় না। আমি পুলিশ কমিশনার হিসেবে ডিএমপিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই এবং আমার যারা সহকর্মী তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারাও উদাহরণ সৃষ্টি করুন। আপনাদের আচার-আচরণ, নৈতিকতা  ও জীবন যাপন পদ্ধতি এমন হতে হবে যেন তা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়। আইনগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একজন পুলিশ অফিসার সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কী ধারণা পোষণ করে, সেটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।'

ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'পুলিশের অন্যতম প্রধান কাজ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা। কোনো অবস্থাতেই কোনো হত্যার ঘটনা যেন অপমৃত্যু হিসেবে থানায় রেকর্ড না হয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এর জন্য থানার ওসি দায়ী হবেন।' 

কমিশনার মো. সাজ্জাত আলী বলেন, 'ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও কিশোর-গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে শিক্ষক, ছাত্র-জনতা, শ্রমিকনেতা ও ব্যবসায়ীসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হবে।'