Daily Bangla Post

ফিল্মি স্টাইলে সাংবাদিকের ওপর হামলা, ক্যামেরা ভাঙচুর

Staff Reporter
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
ফিল্মি স্টাইলে সাংবাদিকের ওপর হামলা, ক্যামেরা ভাঙচুর

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের ওপর বর্বর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী-সমর্থকদের একটি অংশের এই হামলায় অন্তত পাঁচজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানান, শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের সোহাগ নামের এক কর্মী প্রথমে ফুটেজ ধারণে বাধা সৃষ্টি করেন। সাংবাদিকরা বিনয়ের সঙ্গে তাকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানালেও তিনি তা উপেক্ষা করে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে সোহাগ এবং তার সঙ্গে থাকা কিছু উশৃঙ্খল কর্মী ফটো জার্নালিস্ট ডালিমের ক্যামেরায় আঘাত করে সেটি ভেঙে ফেলেন।

হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফখরুল ইসলাম। তিনি জানান, হামলাকারীরা তার শার্ট টেনে ধরে ডিভাইস ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণেই তাকে এই হামলার শিকার হতে হয়েছে বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

হামলার প্রতিবাদ করতে গেলে ‘সময়ের আলো’র রিপোর্টার মাহবুব আলম শ্রাবণ-এর ওপরও চড়াও হন হামলাকারী সোহাগ, যার সজোরে আঘাতে শ্রাবণ আহত হন।

এছাড়া হামলায় আহত হন, রাকিব হাসান (জাগো নিউজের রিপোর্টার), সাইমুম মুবিন পল্লব (বাংলা নিউজ ২৪ ডটকমের রিপোর্টার), মাহমুদ আল মামুন মারুফ (ঢাকা পোস্টের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার), শাহরিয়ার রাকিব (জাগো নিউজের ভিডিও জার্নালিস্ট)।

এই হামলার ঘটনায় উপস্থিত সাংবাদিকরা বাকরুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলাকে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে তারা মন্তব্য করেন।

মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সংগঠনের সেক্রেটারি আক্তারুজ্জামান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর এমন হামলা চরম অগ্রহণযোগ্য। তিনি দ্রুত এই হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

এদিকে, ঘটনার পরপরই স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় নেতা হাফিজ ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান এবং ভেঙে যাওয়া ক্যামেরাসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন।