ইন্টারনেটের দাম বাড়তে পারে ১১ থেকে ১৮ শতাংশ
টেলিকম খাতের নতুন খসড়া নীতিমালা ঘিরে দেশজুড়ে ইন্টারনেটের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রাজস্ব ভাগ ও লাইসেন্স ফি বহুগুণ বাড়ানোয় ঢাকার গ্রাহকদের জন্য ১১ শতাংশ এবং গ্রামীণ ব্যবহারকারীদের জন্য ১৮ শতাংশেরও বেশি খরচ বৃদ্ধির শঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডর (ISP) সংস্থাগুলো।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া ক্লাবের স্কাইলাইন রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া জানান, টেলিকম কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড ওয়্যারলেস (FW) এবং হটস্পট সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে করে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ২৭০০ দেশীয় ক্ষুদ্র ইন্টারনেট উদ্যোক্তা কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে অস্তিত্বের সংকটে পড়বেন।
সভাপতি আমিনুল হাকিম মনে করেন, ‘সরকারের এই লাইসেন্স গাইডলাইনে জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়নি এবং এই পদক্ষেপ দেশীয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ভুল পথে চালিত করবে।’
আমিনুল হাকিম আরও বলেন, ‘নতুন নূতিমালা বাস্তবায়ন হলে গ্রাহক পর্যায়ে গড় ইন্টারনেট মূল্য বাড়বে ২০ শতাংশ; ব্যবসায়ী পর্যায়ে বাড়বে ১৪ শতাংশ।’
কেন বাড়বে ইন্টারনেটের দাম? মূলত সরকারের সাথে রেভিনিউ শেয়ারিং, লাইসেন্স ও অ্যাকুইজিশন ফি বাড়ানোর কারণেই বেড়ে যাবে ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম।
নতুন খসরা নীতিমালায় টেলিকম খাতের মতো আইএসপিদের উপরেও ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং ১ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা তহবিলে (SOF) জমার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি লাইসেন্স নবায়ন ও অ্যাকুইজিশন ফি আড়াই গুণ এবং বার্ষিক ফি প্রায় সাড়ে তিন গুণ বাড়ানো হচ্ছে। স্টারলিংকের অ্যাকুইজিশন ফি যেখানে মাত্র ১২ লাখ টাকা, সেখানে দেশীয় আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
এসব কারণেই ভোক্তা পর্যায়ে ঢাকায় ইন্টারনেটের দাম ১১ শতাংশ ও গ্রামে ১৮ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা জেগেছে বলে মনে করছেন আয়োজকেরা।
