বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টায় রপ্তানিকারক সংগঠনগুলো

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টায় রপ্তানিকারক সংগঠনগুলো

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো।

সংগঠনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী এক থেকে দুই দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের মোট পরিমাণ এবং আর্থিক ক্ষতির পরিসর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) একটি প্রতিনিধি দল কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন করে ক্ষতি নিরূপণ করবে বলে জানানো হয়েছে।

বিজিএমইএ জনসংযোগ কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদ করিম ইউএনবিকে বলেন, বিজিএমইএ-এর একটি দল আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবে।

এদিকে, কার্গো ভিলেজে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়া সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন রপ্তানিকারকরা।

বাণিজ্য নেতারা বলেছেন, বিমানবন্দর কার্যক্রম দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকলে তা শুধু যাত্রী পরিবহনে নয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতেও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

বাংলাদেশ থেকে বিমান পথে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক (আরএমজি), সবজি, ফল ও পানপাতাসহ পচনশীল পণ্য।এ ছাড়া রয়েছে আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে রপ্তানি হওয়া পণ্য এবং বিভিন্ন নথিপত্র।  সে ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যবসায়ীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

বিজিএমইএ-এর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘কী পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিমানবন্দর বন্ধ থাকলেও ক্ষতির মুখে পড়বেন রপ্তানিকারকরা। যদি তা দ্রুতই খুলে দেওয়া হয় তবে কম ক্ষতি হবে, যদি বেশি দিন বন্ধ থাকে তবে বেশি ক্ষতি হবে।’

সবজি ও এ জাতীয় পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিনই অনেক পণ্য থাকে, এমনটা নয়। বিমানের স্থান ফাঁকা থাকার ওপর নির্ভর করে আমাদের বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে পণ্য পাঠানো। তাই যেদিন স্থান বেশি পাই সেদিন পণ্যও বেশি দিতে পারি।’

তাদের সদস্যদের কী পরিমাণ পণ্য মজুত ছিল তা খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এর আগে, শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় আকস্মিকভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এরপর সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী  ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যৌথভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৩৭টি ইউনিটের সাত ঘণ্টারও বেশি সময়ের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।