তিনি দুদকের ওই প্রতিবেদনটিকে একটি ফরমায়েশি প্রতিবেদন বলে দাবি করেন। তাছাড়া প্রকৃত লুটকারীদের আড়াল করতেই এই ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ফখরুল আরও জানান, দুদক এ ধরনের কোনো রিপোর্ট দিয়েছে কি-না, তারা তা নিশ্চিত নন। দুদক যদি তাদের কোনো রিপোর্টে জামায়াত নেতাদের নাম উল্লেখ করে, তাহলে অবশ্যই তাদের তা প্রমাণ করতে হবে। অন্যতায় দুদককে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এ ব্যাপারে জামায়াত বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
জামায়াতের সংবাদ সম্মেলনে সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিলেট অঞ্চলের টিম সদস্য হাফিজ আবদুল হাই হারুন, মহানগরের নায়েবে আমির নূরুল ইসলাম বাবুল, জেলা সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুর রহমান চৌধুরী, জেলা সহকারী সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, দুদকের তালিকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিলেট জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন ও মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরীর নামও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সাড়ে ৪টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এনসিপি এক সংবাদ সম্মেলন করে পাথর লুটে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এনসিপির এই দুই নেতা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাদাপাথর লুটের মূল অপরাধীদের আড়াল করতেই তাদের নাম যুক্ত করা হয়েছে। এই অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা সাদাপাথর ছাড়াও সিলেটের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রের ক্ষতি ও লুটপাটে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়, সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় এনসিপির কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নন। অথচ কিছু গণমাধ্যমে জেলা ও মহানগরের দুজন শীর্ষ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এটা ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও দুঃখজনক।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেতাদের মধ্যে জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক আবু সাঈদ, সালমান খুর্শেদ, সদস্য মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মুফতি মাওলানা ছালিম আহমদ, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়ক নুরুল হক, তারেক আহমদ, মোহাম্মদ আবদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, ১৩ আগস্ট সাদাপাথর লুটের ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাঁচ সদস্যের একটি দল। তারা কমিশনে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাদাপাথর লুটপাটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪২ জন রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আছেন। জামায়াত ও এনসিপির দুজন করে চারজন নেতার নাম রয়েছে।