ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘ভালো’


গতকাল রাতে রাজধানী ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও সকাল হতেই উঁকি দিয়েছে রোদ। সেই সঙ্গে কর্মব্যস্ত মানুষেরা ছুটতে শুরু করেছেন তাদের গন্তব্যে। তবে স্বস্তির বিষয় হলো, আজ শহরের বাসিন্দাদের বায়ুদূষণের কারণে স্বাস্থ্যহানি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কারণ ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘ভালো’।
রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫০। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী এই স্কোরকে ‘ভালো’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ৭৫তম স্থানে নেমে গেছে ঢাকা।
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কম ছিল। প্রায়ই ‘মাঝারি’ পর্যায়ে অবস্থান করা এই শহরের বায়ুমানে মাঝেমধ্যে অবশ্য অবনতিও হয়ে থাকে। তবে আজ শহরের বাতাস বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।
বর্ষা মৌসুমে ঢাকার বাতাসের মান তুলনামূলক ভালো থাকে। তবে অন্য সময় বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকার প্রথম দিকেই থাকে রাজধানী শহর।
ঢাকার চেয়ে আজ দক্ষিণ এশিয়ার দুটি শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি। এর মধ্যে ভারতের দিল্লির বাতাস আজও ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’, শহরটির স্কোর ১২২। এ ছাড়া ৯০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোরের বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে।
একই সময়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা যার একিউআই স্কোর ১৯৬। অন্যদিকে, ১৬০ ও ১৫৮ নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।