সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসছেন বেসরকারি শিক্ষকরা


অবসর-কল্যাণ সুবিধা পেতে ভোগান্তি লাঘব ও অর্থ সংকট মেটাতে বেসরকারি শিক্ষকদের (এমপিও ভুক্ত) সরকারের সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসছেন। একই সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্য বীমা রাওতায় আনা হবে।
বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এ কথা জানান। এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার উপস্থিত ছিলেন।
বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর ও কল্যাণ সুবিধা পেতে চরম ভোগান্তি হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিনিয়র সচিব বলেন, 'সেখানে (শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট) ৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঘাটতি। যেখানে ৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঘাটতি, আমরা ২০২১ সালে যারা অবসর নিয়েছে তাদের টাকা দিতে পারছি না। এবার আমরা বাজেটে অর্থ বিভাগের সঙ্গে অনেকদিন দেন-দরবার করে দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড আনতে পেরেছি। আমরা আশা করছি আগামীতে আরও ২/৩ হাজার কোটি টাকার বন্ড আনতে পারব। তাহলে প্রতিবছর যে ৫০০ কোটি টাকার ঘাটতি থাকে, সেই ঘাটতিটা পূরণ হবে।'
সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, 'এই ব্যবস্থাটা খুব একটা কার্যকরী ব্যবস্থা নয়। ক্রমান্বয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ছে। এখন তারা ১০ শতাংশ কন্ট্রিবিউট করে। কিন্তু এটি যথেষ্ট নয়। তবে কি আমরা সব সময় এই ঘাটতি নিয়ে চলবো? সেজন্য আমরা তাদেরকে সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় নিয়ে আসতে চাচ্ছি। যাদের চাকরি কমপক্ষে ১০ বছর বাকি আছে তারাও এটার আওতায় আসতে পারবেন। বাকিদেরকে আমাদেরকে আগামী আরও ১০ বছর টানতে হবে।'
সিনিয়র সচিব বলেন, 'যারা পেনশনের আওতায় আসবেন তাদেরকে আমরা দুটি সুবিধার ব্যবস্থা করছি। একটি হচ্ছে উনি অবসরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৩০ শতাংশ নগদ পেয়ে যাবেন। কারণ অবসরের পর অনেকের অনেক কাজ থাকে- হজে যান, বাড়িঘরের কাজ করেন। প্রতিমাসে যে পেনশন পাবেন সেটা যাতে কোনক্রমে ৪০ হাজার টাকার কম না হয়। তার যদি কমপক্ষে ১৫ বছর পেনশন লাইফ থাকে, তাহলে ১৫ বছরে তিনি যে টাকা পাবেন এখন উনি যে টাকা পেতেন সেটার থেকে কোন ক্রমে কম যাতে না হয়। এগুলো হচ্ছে ক্রাইটেরিয়া।'
'এছাড়া আমরা অতিরিক্ত হিসেবে যে জিনিসটি দিচ্ছি, সেটা হলো তাদেরকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় নিয়ে আসা। কারণ অবসরের পর অনেকেই বেশ অসুস্থ থাকেন। সেজন্য আমরা তাদের স্বাস্থ্য বীমার আওতায় নিয়ে আসতে চাচ্ছি' বলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব।