নতুন সংবিধান প্রণয়নে ২–৩ বছর সময় লাগতে পারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১১ মে ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম
নতুন সংবিধান প্রণয়নে ২–৩ বছর সময় লাগতে পারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

নতুন সংবিধান প্রণয়নে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগতে পারে বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, নতুন সংবিধান প্রণয়নে পার্শ্ববর্তী দেশে এমন উদাহরণ আছে যে আট থেকে নয় বছর লেগেছে।

আজ রোববার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের ৭ প্রস্তাব নিয়ে এ আলোচনার আয়োজন করে ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের সমন্বয়ে এই প্ল্যাটফর্ম গঠিত।

আলোচনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নাগরিক কোয়ালিশনের সহ-আহ্বায়ক আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। এতে সংবিধান সংস্কার নিয়ে নাগরিক জোটের ৭ প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান। এসব প্রস্তাব কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সে বিষয়ে বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক জিয়া হাসান।

নতুন সংবিধান প্রণয়নে সময় লাগবে উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন এ জন্য কি আমি বাহাত্তরের সংবিধান কন্টিনিউ করব (অব্যাহত রাখব)?’ তিনি বলেন, নতুন সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত যে সংসদ থাকবে, সে সংসদটা সংবিধান সংসদ হিসেবে কাজ করবে। এই সংসদ বাহাত্তরের সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনগুলো করে ফেলবে।

অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, যখন একটা সংসদ একই সঙ্গে সংবিধান প্রণয়ণের কাজ করে, তখন কিন্তু সেটি খুব অল্প সময় দিতে পারবে। যেমন কখনো কখনো এ রকম করা হয় যে সপ্তাহে দুই দিন তারা সংবিধান পরিষদের কাজ করবে; একটা বা চারটা সেশন করবে। এতে সংবিধান প্রণয়নে কম সময় পাওয়া যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ রকম একটা সংবিধান পরিষদ ৯০ দিনে সংবিধান রচনা করে ফেলবে, এটা একটু উচ্চাশা।

এ সময় জুলাই সনদ নিয়ে দেওয়া প্রস্তাবের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, এখানে জুলাই সনদের ওপর অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জুলাই সনদে কি এত কিছু থাকবে? এটা তো সংবিধানে লিখতে হবে। এখানে ধরেই নেওয়া হয়েছে সবাই জুলাই সনদের অনেক বিষয়ে একমত হবে। এটা এত সহজ হবে না। হয়তো জুলাই সনদের একেবারে মৌলিক বিষয়গুলো (সংবিধানে) রাখা সম্ভব হতে পারে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) সভাপতি ববি হাজ্জাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।