‘ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর জোরালো করতে হবে’

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৪ পিএম
‘ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর জোরালো করতে হবে’
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে নির্বিঘ্নে গণহত্যা চালাচ্ছে বর্বর ইসরাইল। প্রতিনিয়ন হত্যা করছে নারী-শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের। অথচ তাদের এমন মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধে অনেকটাই নিশ্চুপ মুসলিম বিশ্বসহ জাতিসংঘ ও বিশ্বের মোড়লরা। তবে বাংলাদেশের জনগণ বরাবরই নিপীড়িত ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছে।

‘মার্চ ফর গাজা’র মতো বড় বড় কর্মসূচি পালন করে তেলআবিবের ঘৃণ্যকাজের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এবার ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশের কণ্ঠস্বর জোরালো করার আহ্বান জানালেন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশের (পুনাব) আলোচনা সভায় অংশ নেয়া বক্তারা। 

আলোচনার প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট -এর পরিচালক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কণ্ঠস্বর। তাদের মেধা ও চেতনায় দেশের প্যালেস্টাইন-সহায়ক স্ট্র্যাটেজি নির্ধারিত হবে। তারা সক্ষম একটি ন্যায্য ও কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।
 
আলোচক কর্নেল (অব.) আশরাফ আল দ্বীন মানবিক দৃষ্টিকোণ তুলে ধরে বলেন, ‘প্যালেস্টাইনকে বাঁচানো শুধুমাত্র মুসলিম হিসেবে নয়, এটি একটি মানবিক দায়িত্ব। গাজার ইতিহাস জানলে প্রতিরোধের ভিত্তি শক্ত হয়।’

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে ‘প্যালেস্টাইন সাপোর্টিভ বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজির সন্ধানে’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় ফিলিস্তি ইস্যুতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য কূটনৈতিক, একাডেমিক এবং জনমতভিত্তিক ভূমিকা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করা হয়। 

আলোচনায় আরো অংশ নেন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ'র উদ্যোক্তা রাফে সালমান রিফাত, বিশিষ্ট এক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ, গ্রীন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রধান ড. মো. আরিফুজ্জামান, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক রেগান আহমেদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের কো-ফাউন্ডার মো. তালহা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তর সেক্রেটারি মূর্শিদূল আলম সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার আবিদুর রহমান।

বক্তারা ফিলিস্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান, ছাত্র সমাজের ভূমিকা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কণ্ঠস্বর উত্থাপন এবং ন্যায়ের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নানা দিক তুলে ধরেন।

আলোচনায় উপস্থিত শিক্ষার্থী ও প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানানো হয়, যেন তারা একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও কার্যকর স্ট্র্যাটেজির নেতৃত্ব দেয়, যা আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সম্মান ও ভূমিকা আরও সুদৃঢ় করবে।