যুগান্তরের সম্পাদক-প্রকাশকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রকাশক সালমা ইসলাম ও নিবন্ধ লেখক মোহাম্মদ আবদুস ছালামের প্রতি আদালত অবমাননার রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
‘ফিরে দেখা বিচার বিভাগ পৃথক্করণ’ শিরোনামে মোহাম্মদ আবদুস ছালামের লেখা নিবন্ধ ১ নভেম্বর যুগান্তরে প্রকাশিত হয়। নিবন্ধে বিচার বিভাগ পৃথক্করণ সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলার রায় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য ও অবমাননাকর বক্তব্য প্রকাশের অভিযোগে গতকাল সোমবার ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটি করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানিম হোসেইন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিদুয়ানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম।
নিবন্ধটি তুলে ধরে শুনানিতে আইনজীবী তানিম হোসেইন বলেন, যা লেখা হয়েছে, তা ঘটনাগতভাবে সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর। রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গে বড় ধরনের সংস্কার কার্যক্রম চলছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের জন্য সংস্কার কমিশন হয়েছে। খুবই কৌশলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গকে মুখোমুখি করে দেওয়ার একটা প্রয়াস মনে হয়েছে। আদালত অবমাননার রুল দেওয়ার আরজি জানান তিনি।
শুনানি নিয়ে আদালত রুল দেন। কেন নিবন্ধ লেখক, যুগান্তরের সম্পাদক ও প্রকাশককে আদালত অবমাননার জন্য অভিযুক্ত করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। তাঁদের আগামী রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে হলফনামা আকারে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।