বাসায় ঢুকে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীর রামপুরা মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় ফ্ল্যাট নিয়ে বিরোধের জের ধরে বাসায় ঢুকে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার বিভাগের কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালের দিকে রামপুরার মহানগর প্রজেক্টের চার নম্বর রোডের ডি-ব্লকের একটি বাড়ির আট তলার একটি ফ্ল্যাটে ঘটনাটি ঘটে।
মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে এক প্রকৌশলীসহ তিনজনকে আটক করেছে রামপুরা থানা পুলিশ।
যে ফ্ল্যাটে অতর্কিতভাবে ১০–১২ জন এই হামলা চালিয়েছে ওই ভবনের নিচতলায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন তামিম। তার মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্য এবং সহকর্মীরা।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরপরই লোকজন তামিমকে উদ্ধার করে মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত তামিমের পরিবারের দাবি, প্লিজেন্ট প্রোপার্টিস নামে ওই কোম্পানির কর্ণধার শেখ রবিউল আলম রবির নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তামিমের বড় ভাই শামভিল জাহান বলেন, ডেভলপার কোম্পানি তাদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে একটি অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মামুনের কাছে বিক্রি করে। ডেভলপার কোম্পানির মালিক শেখ রবিউল আলম বিএনপি নেতা। এ কারণে ফ্ল্যাট দখল নিতে ও আমাদের ওপর হামলা করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে ভাড়া করার কথা শুনেছি। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ তদন্ত করে তাদের খুঁজে বের করা হোক। যারা আমার ভাইকে খুন করে ফেলেছে।
হাতিরঝিল থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, মহানগর প্রজেক্টের ওই বাড়িটির জমির মালিক তামিমের বাবাসহ মোট তিনজন। তাদের সঙ্গে ডেভলপার কোম্পানির দ্বন্দ্বের জের ধরে ওই বাড়িতে প্লিজেন্ট প্রোপার্টিস নামে ডেভলপার কোম্পানির লোকজন ঢোকেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের সঙ্গে বহিরাগত কয়েকজন ছিল। বাগবিতণ্ডা ও তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে কিল-ঘুষি ও গলা টিপে শ্বাসরোধ করা হয় তামিমের।
ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।