বিডিনিউজ সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা প্রত্যাহার

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত:০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
বিডিনিউজ সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা প্রত্যাহার

অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী ও বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর বিরুদ্ধে করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা প্রত্যাহার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হকের সই করা মামলা প্রত্যাহারের অনুমতিপত্র ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করা হয়।

দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও মীর আহমেদ আলী সালাম মামলা প্রত্যাহারের জন্য দুটি পৃথক আবেদন করেন। দুই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন।

মামলা প্রত্যাহার আবেদনে বলা হয়, ক্রিমিনাল ‘ল’ এমেইন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৮ এর ১০(৪) ধারা ও ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৫ ধারার বিধানে দুদক মামলা ২টির প্রসিকিউশন প্রত্যাহারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারসহ তাদের কোন সম্পদ ক্রোক, অবরুদ্ধে ও বিদেশ গমনের নিষেধাজ্ঞা থাকলে তার সকল দায় হতে তাদের অব্যাহতি প্রদান করা প্রয়োজন।

২০২০ সালের ৩০ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেন। গত ২৫ এপ্রিল মামলায় তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, কোনো ধরনের বৈধ উপার্জন ছাড়াই তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট  ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন। 'ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে' তিনি এসব টাকা অর্জন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগে বলা হয়।

অন্যদিকে, ৯০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল দুদকের উপপরিচালক মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। গত ১১ জুলাই দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো কামরুজ্জামান অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

অভিযোগপত্র অনুযায়ী বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১২ লাখ ৪১ হাজার ৮৩৭ টাকার তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর বাইরে দুদকের অনুসন্ধানে ৯০ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়।