ব্যস্ততার মাঝেও যেভাবে সন্তানকে সময় দেবেন

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত:০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম
ব্যস্ততার মাঝেও যেভাবে সন্তানকে সময় দেবেন

কর্মব্যস্ততার এই যুগে সবকিছু সামলে একটুখানি সময় বের করা কঠিন হয়ে উঠছে। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হচ্ছে তাঁর নিজের সন্তানটি। এই কারণে  সন্তানের সঙ্গে আপনার বন্ডিং নেই বললেই চলে। জেনে নিন ব্যস্ততার মাঝেও কীভাবে সন্তানের সঙ্গে মজবুদ করবেন বন্ধুত্ব। রইল টিপস।

নিত্যপণ্যের উদ্ধগতিতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় অনেকেরই। তাই তো স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্মরত থাকেন। তাঁদের সিংহভাগ সময় যায় অফিস বা নিজেদের কাজে। তাই ইচ্ছে থাকলেও সন্তানকে বেশি সময় দিতে পারেন না। যার ফলে ছোট্ট সোনার সঙ্গে মানসিক বন্ধন পোক্ত হয় না। ধীরে ধীরে সে মা-বাবার থেকে দূরে চলে যায়। নিজের ভালো-মন্দ কিছুই যেন বাবা-মার সঙ্গে ভাগ করে নেয় না। সমস্যা এতদূর গড়িয়ে যাওয়ার আগেই সাবধান হতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব সন্তানের সঙ্গে বন্ডিং বাড়াতে কাজে লেগে পড়ুন।

রাতে বাড়িতে ফিরে সময় দিন
সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। তারপরও রাতে বাড়ি ফিরে অবশ্যই সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান। ছোট্ট এই কাজটা করলেই তার সঙ্গে আপনাদের বন্ডিং দৃঢ় হবে। সে বুঝতে পারবে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। দেখবেন সে আপনার সঙ্গে নিজের ভালো-মন্দ ভাগাভাগি করতে শুরু করেছে। বাবা-মা হিসাবে আপনার আর কী চাওয়া থাকতে পারে বলুন!

নিজের কথা বলুন
বাড়িতে ফিরে সন্তানকে নিজের সারাদিনের কর্মকাণ্ডের কথা বলুন। আপনি কীভাবে অফিস গেছেন, কী কী কাজ করেছেন, কী ভাবে ফিরেছেন– সবই। তাহলে দেখবেন সেও আপনাকে নিজের সারাদিনের সব ঘটনা বলবে। তার কথা শোনার পর প্রয়োজন মনে হলে পরামর্শও দিতে পারেন। আনার ব্যপারেও তার পরামর্শ শুনবেন। দেখবেন সে আপনাকে বন্ধু ভাবতে শুরু করেছে। আর আপনাদের বন্ধন আরও কয়েকগুণ পোক্ত হয়ে উঠবে।

খেলতে যান
সব শিশুরাই খেলতে পছন্দ করে। তাই বাড়িতে যতটুকু সময় পান, তার সঙ্গে খেলুন। মোবাইলে আটকে থাকবেন না। তবে অবশ্যই তার পছন্দমতো খেলাই আপনাকে খেলতে হবে। ছুটির দিনগুলোতে অবশ্যই তাকে নিয়ে মাঠে যান। সেখানে সমবয়সীদের সঙ্গে তাকে খেলতে দিন। যদি তেমন কেউ না থাকে, তবে নিজেই তার সঙ্গে খেলুন। তাতেই আপনাদের মধ্যে দূরত্ব ঘুচবে।

সময় নিয়ে তার কথা শুনুন
সে ছোট বলে তার সব কথা ফেলে দেবেন না। তাতে সন্তানের সঙ্গে আপনাদের দূরত্ব বাড়বে। যদি আপনার মধ্যে এই বদভ্যাস থাকে, তবে এখনই শুধরে নিন। চেষ্টা করুন ছোটখাট বিষয়ে সে কীভাবে চিন্তা করছে, তা শোনার। যেমন ধরুন, আজ বাড়িতে কী রান্না করবেন, এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই পারেন। তার মতেই করতে পারেন রান্না দেখবে খুব খুশি হয়েছে। সন্তান বুঝবে তার মতামতও আপনাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের মধ্যে আরও পোক্ত হবে ভালোবাসার বন্ধন।

ভুল করলেই রাগ নয়
ছোটরা ভুল করবে, এটাই স্বাভাবিক। আপনিও নিশ্চয় কিছুনা কিছু ভুল করেন। তাই সন্তান ভুল করলেই তাকে নেতিবাচক কথা বলবেন না। বা তার সঙ্গ রাগ করবেন না। বরং তাকে ভুল শুধরে দিন। তাকে কঠিন কাজ করাতে উৎসাহ দিন। যেকোনো কাজই সে পারবে, এই বিশ্বাসটা তার মধ্যে রোপন করে দিতে হবে। তাহলেই দেখবেন সে আপনাদের নিজের মণি কোঠায় স্থান দেবে।