বায়ুদূষণে ফের শীর্ষ পাঁচে লাহোর ও দিল্লি, ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২২ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫০ এএম
বায়ুদূষণে ফের শীর্ষ পাঁচে লাহোর ও দিল্লি, ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’

টানা কয়েকদিন ধরেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা কিছুটা কম। শহরটির বাতাসের মান ছিল‘মাঝারি’। আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে আবারও বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষ পাঁচে উঠে এসেছে পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লি।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে বাতাসের মান ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়।

গতকাল একই সময়ে ঢাকার স্কোর ছিল ৬৪। তার আগের দিন বুধবারও একই স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি’ পর্যায়ে ছিল ঢাকার বাতাস।

সাধারণত বর্ষাকালে ঢাকার বাতাসের মানে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়। গত কয়েকদিন ধরে টানা না হলেও কমবেশি বৃষ্টি ঝরেই চলেছে ঢাকাতে। যে কারণে বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কম রয়েছে।

তবে ঢাকার মতোই দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা লাহোর ও দিল্লির বাতাসে লক্ষণীয় অবনতি দেখা গেছে। শহর দুটির বাতাস বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

আজ ১৫৫ স্কোর নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে লাহোর এবং ১৫৪ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে দিল্লি।

একই সময়ে আজ তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাহরাইনের মানামা, একিউআই স্কোর ২৪২। অন্যদিকে, ২২৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কাতারের দোহা। সেই সঙ্গে গতকাল শীর্ষে থাকলেও ১৬৩ স্কোর নিয়ে আজ তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা।

কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।