বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল অমদানি বন্ধ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল অমদানি বন্ধ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে আমদানিকারকরা। এতে বড় ধরনের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। 

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই ফল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ফল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে এর আগে বাংলদেশ ফ্রেস ফুড এসোসিয়েশন আল্টিমেটাম দিয়েছে। যেহেতু সেটা সরকার প্রত্যাহার করেনি। সেজন্য আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছি। আসন্ন রমজান উপলক্ষে ফল আমদানিতে শুল্ককর যদি কমানো না হয়; তাহলে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বাজারে। এতে করে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে ফলের দাম। ফলে ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ।’

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, হঠাৎ করে গত মাসের ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে সরকার। যার প্রভাব পড়েছে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের ওপর। যে কারণে ফল আমদানি শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে আমদানি করা ফলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় সব ধরনের ফলের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

এছাড়া শুধু ফল আমদানিতে এই বন্দর থেকে সরকারের প্রতিদিন ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো। ফলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ককর কমানো না হলে বড় ধরনের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সুশান্ত পাল জানান, আজ থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সকাল থেকে কোনো ফলের ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করেনি। অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা। 

তিনি জানান, আগে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক ফল আমদানি হতো। এখন তা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। 

এভাবে চললে আসন্ন রমজান মাসে ফলের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে বলে মনে করেন তিনি।