আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলায় উপেক্ষিত এফবিসিসিআই, ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ
পূবার্চলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৯ তম ঢাকা আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৫ শুরু হয়েছে গত বুধবার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এই মেলার উদ্বোধন করেন।
প্রতিবছরই এফবিসিসিআই এর সভাপতি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন এবং বক্তব্য প্রদান করেন, কিন্তু এবারের আয়োজনে এফবিসিসিআই প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান উপস্থিত থাকার পর ও বক্তব্য প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়নি।
এফবিসিসিআই সর্বোচ্চ বাণিজ্য সংগঠন হিসাবে দেশের ৪ কোটি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে। এ ধরণের আচরণ ব্যবসায়ীদেরও সংক্ষুদ্ধ এবং অপমানিত করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে সংগঠনটির বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ।
বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা আতিকুর রহমান বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখে এসেছি যে আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বক্তব্য প্রদান করেন; যদিও এখন সভাপতি নেই, তবে প্রশাসক মহোদয় উপস্থিত ছিলেন, উনাকে বক্তব্য প্রদান করার সুযোগ দেয়া হয়নি। গত ৩০ তারিখে বানিজ্য মন্ত্রনালয় সচিব মহোদয় এর উনার চাকরি জীবন শেষ হয়েছে। মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন তার পরবর্তীতে যিনি গতকাল দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানেও আমরা দেখেছি লঙ্ঘন করা হয়েছে, প্রশাসন জ্যৈষ্ঠতা লঙ্ঘতা কতটুকু শোভনীয় আমি জানিনা।
বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এই বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রনালয় যেন সঠিক পদক্ষেপ নেয়।
এছাড়া বাণিজ্য সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন অবসরের পর বাণিজ্য মেলার অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, মোঃ আব্দুর রহিম খান। উপরোক্ত ঘটনাগুলিতে আমন্ত্রিত অতিথীবৃন্দ বিস্ময় প্রকাশ করেন। বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে আর ও ইতিবাচক ভূমিকা আশা করেন।