বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারত থেকে এলো ১০৫ টন আতপ চাল
ভারত থেকে এসেছে ১০৫ মেট্রিক টন আতপ চাল। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় চাল আমদানি করেছে চট্রগ্রামের প্রতিষ্ঠান সালমা ট্রেডিংয়ের আমদানিকারক ও মালিক সামসুল আলম।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে স্থলবন্দরের ইয়ার্ডে চারটি পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে।
চাল আমদানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, স্থলবন্দরটিতে দুই দফায় চাল আমদানির পর আজকে আরও ১০৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান সালমা ট্রেডিংয়ের আমদানিকারক ও মালিক সামসুল আলম। দুপুরে বন্দরটিতে এসব চাল চারটি ট্রাক নিয়ে প্রবেশ করেছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন বলেন, আজ রোববার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ১০৫ মেট্রিক টন ভারতীয় আতপ চাল এসেছে। বন্দরে এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এভাবে নিয়মিত চালসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী আমদানি করা হলে আমাদের দেশে ভোগ্যপণ্য জিনিসপত্রের দাম কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পঞ্চগড়ের পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুল হাসান ও রেজাউল করিম রেজা সাংবাদিকদের বলেন, আজকে ভারত থেকে চারটি ট্রাকে করে ১০৫ মেট্রিকটন আতপ চাল স্থলবন্দরে আসলে গাড়ির স্বল্পতা দেখা দেয়। এ কারণে আমদানিকৃত ১০৫ মেট্রিক টন আতপ চালের মধ্যে আজ ৬০ মেট্রিক টন চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৪৫ মেট্রিকটন চাল সোমবার পাঠানো হবে।
এর আগে, ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর দুই দফায় স্থলবন্দরটি দিয়ে ভারত থেকে পৃথকভাবে ২০০ মেট্রিকটন আতপ চাল আমদানি করে আমদানিকারক আল আমিন এন্টারপ্রাইজ ও সালমা ট্রেডিং।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহিন বলেন, ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটি দিয়ে এবার ১০৫ মেট্রিকটন চাল আমদানি হয়েছে। এর আগে, আরও দুইবার চাল আমদানি হয়েছে। এ পোর্ট দিয়ে যাতে আরও কিছু আমদানি করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছি ও উদ্বুদ্ধ করছি।