পাওনা টাকা দেওয়ার নামে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা


বগুড়ায় পাওনা টাকা দেওয়ার নামে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শাকিল খন্দকার (৪১) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা সদরের ইসলামপুর তেলিপুকুর এলাকায় একটি ধানক্ষেত থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত নিহতের ভাগনে তৌফিক ইসলামকে (৩২) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির জানান, তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, নিহত শাকিল খন্দকার বগুড়া সদরের ছিলিমপুর মিয়াপাড়া এলাকার বাকিবুল্লাহ খন্দকারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা বিপ্লব হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ইসলামপুর তেলিপুকুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বালুর ব্যবসা নিয়ে শাকিল খন্দকারের সঙ্গে স্থানীয় শামীম ও পলাশের দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার রাতে জমি কেনাবেচার পাওনা দেড় লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে শাকিলকে তার আত্মীয় সুজন বাড়ি থেকে ডেকে বের করেন। এরপর তাকে তেলিপুকুর গ্যাসপাম্পের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছার পর পলাশ ও শামীম তাদের অন্তত ৪০ জন সহযোগী প্রথমে শাকিলের ভাগনে তৌফিককে বেধড়ক মারপিট করে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাকিলকে আঘাত করলে তিনি পালিয়ে যান। এ সময় শাকিলের ছেলে আপন (২৫) ও অপূর্ব (২২) আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে নিহতের দুই ছেলে আপন, অপূর্ব ও ভাগনে তৌফিক ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্তরা মব সৃষ্টি করে উল্টো শাকিলের ছেলে জয়ের হাতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। রাতেই স্বজনরা শাকিলের সন্ধান পেতে পুলিশের শরণাপন্ন হন। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। শনিবার সকালে তেলিপুকুর এলাকায় একটি ধানক্ষেতে শাকিলের কোপানো মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে নিহত শাকিলের চাচাতো ভাই মিরাজ খন্দকার জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শাকিলকে হত্যা করা হয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।