শিরোপা দিয়েই বুসকেটস-আলবার শেষটা রাঙালেন মেসি
মেজর লিগ সকার (এমএলএস) কাপ জয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্মরণীয় রাতে সমাপ্তি ঘটল ফুটবল ইতিহাসের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র, জর্দি আলবা এবং সের্জিও বুসকেটসের বর্ণাঢ্য ক্লাব ক্যারিয়ার। শিরোপা জয়ের এই ম্যাচটি অন্য একটি কারণে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে বিশেষ ছিল—এটি ছিল বার্সেলোনার এই দুই কিংবদন্তির পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
বার্সেলোনায় ১১টি দুর্দান্ত মৌসুম কাটানো জর্দি আলবা তার অসাধারণ ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন। বার্সার হয়ে তিনি ছয়টি লা লিগা শিরোপা এবং একটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা জিতেছেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্পেনের জার্সিতে আলবা ২০১২ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ফুটবল বিশ্লেষকরা তাকে সর্বকালের অন্যতম সেরা লেফট-ব্যাক হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন। এমএলএস কাপ জয় তার বিদায়কে আরও মধুর করে তুলল।
অন্যদিকে, সের্জিও বুসকেটস বিদায় নিলেন এক অবিশ্বাস্য সাফল্যের তালিকা নিয়ে। বার্সেলোনার হয়ে ৭২২টি ম্যাচ খেলেছেন এই মিডফিল্ড মায়েস্ত্রো এবং ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন রেকর্ড ৩২টি ট্রফি।
স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে তিনি ২০১০ সালে বিশ্বকাপ এবং ২০১২ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও তুলেছেন। মাঝমাঠের এই নীরব কারিগরের ক্যারিয়ারেরও একটি চমৎকার ও বিজয়ী সমাপ্তি ঘটল এমএলএস-এর মঞ্চে ট্রফি জয়ের মাধ্যমে।
লিওনেল মেসি যখন মেজর লিগ সকার (এমএলএস)-এ যোগ দেন, তখন ইন্টার মিয়ামি দলটি ছিল একেবারে নিচের দিকে। কিন্তু দলে মেসি আসার পর রাতারাতি যেন বদলে যায় দলটির সার্বিক পরিস্থিতি। প্রথম মৌসুমেই তারা জিতে নেয় লিগস কাপ। এরপর সাপোর্টার্স শিল্ড জয়ের পর তারা ইস্টার্ন কনফারেন্সের শিরোপাও জেতে। অবশেষে এমএলএস কাপও জয় করল ফ্লোরিডার দলটি।
শনিবার চেজ স্টেডিয়ামে ফাইনালে ভ্যানকুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়ে ইন্টার মিয়ামি প্রথমবারের মতো তাদের ইতিহাসে এমএলএস কাপ জিতল। যদিও মেসি এই ম্যাচে গোলের দেখা পাননি, তবুও তিনিই ছিলেন ফাইনালের সবচেয়ে বড় নায়ক। দলের তিনটি গোলেই ছিল তার অবদান।
