তারেক রহমান
কেবল বিএনপিই পারে দুর্নীতি-আইনশৃঙ্খলার লাগাম টেনে ধরতে
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, দুর্নীতি রোধ করতে পারলে একমাত্র বিএনপিই তা করতে পারে। কারণ আমরা অতীতে করেছি, ভবিষ্যতেও করতে পারব ইনশাআল্লাহ। বিএনপি সরকার বিভিন্ন বাহিনী তৈরি করে দেশে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ঘটিয়েছিল। পরে স্বৈরাচার সেই বাহিনী রাজনৈতিক স্বার্থে অপব্যবহার করেছিল। সুতরাং দুর্নীতি-আইনশৃঙ্খলার লাগাম একমাত্র বিএনপিই টেনে ধরতে পারে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিজয়ের মাস উপলক্ষে আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিজয়ের মাস উপলক্ষে আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, যারা বলছেন অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে দেখেছেন, এবার আমাদের দেখুন, মানুষ তাদের ১৯৭১ সালে দেখেছে—কিভাবে তারা লাখ লাখ মানুষ হত্যা করেছে, মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে।
বেহেশতের টিকিট দেওয়ার আশ্বাস প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, বেহেশত বা দোজখ দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ, এগুলো যারা বলে তারা শিরক করছে। পরকালে কে কোথায় যাবে, তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র সৃষ্টিকর্তার।
তারেক রহমান বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে, ৯০-এর স্বৈরাচার আন্দোলনের পরে, বিভিন্ন সংকটের সময়ে যখন বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তখন বিএনপি অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে, অবস্থার উন্নতি করেছে। এই মুহূর্তে আমরা আগামী দুই মাস পরে একটি নির্বাচন প্রত্যাশা করছি। গত ১৬ বছরে যে স্বৈরাচারকে জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে বিতাড়িত করেছে, সেই স্বৈরাচার দেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রকে কীভাবে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে– তা আমরা জীবনের পরতে পরতে অনুভব করতে পারি।
তিনি বলেন, জনগণই আমাদের সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস। তাহলে কেন আমরা জনগণের সামনে দাঁড়াব না? আমাদের লক্ষ্য দেশ ও জনগণকে নিয়ে। জনগণ যে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা তা মাথা পেতে নেব। আড়াই থেকে তিন বছর আগে, যখন স্বৈরাচার শক্ত হাতে মানুষের বাক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অধিকারের গলা টিপে রেখেছিল– সেই রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমরা মানুষের সামনে ‘সংস্কার প্রস্তাব’ দিয়েছিলাম। যা ৩১ দফা হিসেবে পরিচিত।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বলে আসছি সামনের সময় ভালো নয়। সামনে অনেক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে পারে দেশের জনগণ এবং জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি। এই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার একমাত্র উপায়– গণতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্র। জনগণের মতামত প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব।
বিপি/আইএইচ
