সেন্টমার্টিনের নিষেধাজ্ঞা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না: ট্যুরিজম উপদেষ্টা
সম্প্রতি কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। দেয়া হয়েছে নানা নিষেধাজ্ঞা। এসব নিষেধাজ্ঞা সেন্টমার্টিন দ্বীপের পর্যটনে কোন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ।
আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সেন্টমার্টিনে নিষেধাজ্ঞায় পর্যটনে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হাসান আরিফ বলেন, না তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। প্রভাব ফেলবে না এ কারণে যে অনেক দেশে দেখ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে তারা নাম্বার নিয়ন্ত্রণ করে। সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। প্রবালের উপর এদ্বীপ। প্রত্যেকের একটা ক্যাপাসিটি থাকে।
এসময় তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একটি ১০ বেডের হোটেলে যদি ৩০ জন যায় তবে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। সেখানে ওয়াশরুম বেডরুম রান্নাঘর সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য ইতোমধ্যে সেন্ট মার্টিনে বহু সংখ্যক পর্যটক যাওয়ার কারণে অনেক ড্যামেজ হয়েছে। এখন সেটাকে সীমিত রেখে আমরা ম্যানেজেবেল পর্যায়ে নিয়ে আসা যাতে ঠিক যে পরিমাণ ট্যুরিস্ট সেন্টমার্টিনের নেয়ার ক্যাপাসিটি হবে ততোটুকুই যাওয়া বাঞ্ছনীয়। বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
সেন্টমার্টিন এর অবস্থা তুলে ধরে তিনি জানান, দ্বীপটির বেশি সংখ্যক পর্যটক যাতায়াতের ফলে প্লাস্টিক ব্যবহার বাড়ায় প্রবাল গুলো ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে চলে গেছে। ফলে পর্যটক সীমিত করে অর্থ ব্যয় করে এই দ্বীপকে সংস্কারের উদ্যোগ নেবে সরকার।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কোন পুনর্বাসন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা সেখানে টুরিস্ট অপারেট করছেন বা যাওয়ার সুযোগ তৈরি করেছেন তারা যাওয়ার আগে কোন সার্ভে করা যে আমি এখানে কতজন ট্যুরিস্ট একোমোডেট করতে পারব। আমি যদি বিকট শব্দে গান শুনি সেটা যেমন এন্টারটেইনমেন্ট হয় না তেমনি আমি দল বেধে গেলাম মাইকে গান শুনলাম এটা ট্যুরিজম হলো না।