জার্মানিতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
জার্মানিতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। ছবি: বাংলা পোস্ট
জার্মানিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জার্মানি শাখার উদ্যোগে ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের সালবাউ ব্রনহাইম হলে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জার্মানি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধনের কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং ভোট প্রদানের পদ্ধতি উপস্থাপন করা হয়।
জার্মানি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজার সভাপতিত্বে এবং জার্মানি বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ হাবিবের উপস্থাপনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য দেওয়ান শফিকুল ইসলাম।
এ সময় বক্তারা বলেন, আজ একটি বিশেষ ঐতিহাসিক দিন। ১৯৯০ সালের এই দিনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে, ছাত্র–জনতার তীব্র আন্দোলনের ফলে, অনেক রক্তের পিচ্ছিল পথ মাড়িয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছিল। কিন্তু যে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিলেন, সেই গণতন্ত্র আবার হরণ করেন শেখ হাসিনা নামের এক দানব শাসক। জনগণ হারায় বাক–ব্যক্তির স্বাধীনতা, কেড়ে নেওয়া হয় মৌলিক অধিকার, পদদলিত করা হয় মানবাধিকার। জোরপূর্বক ভুয়া ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে, বিরোধী দলের রাজনীতিবিদ নিধন আর ভিন্নমত দমন করে ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। আবার সেই গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে পথচলা ছিল অনেক কঠিন; স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা তাকে শারীরিক–মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেওয়ান শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আধিপত্যবাদী শক্তি ও স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ২০২৪-এর আগস্টে ছাত্র–জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে হাসিনা পালিয়ে গিয়েছেন। তবে পালিয়ে গিয়েও তাঁর প্রভুদের সহযোগিতায় দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই গণতন্ত্রকামী সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের মতপার্থক্য থাকবে, মত–মতভেদ থাকবে, কিন্তু স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবো।
সভাপতির বক্তব্যে মাসুদ রেজা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁর জীবন–যৌবন বিসর্জন দিয়েছেন বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের জন্য। স্বৈরাচারিণী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার এই মহান নেত্রী আজ মৃত্যু–শয্যায়। গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে সুদীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে ২৪–এর ছাত্র–জনতার তীব্র আন্দোলনে অসংখ্য লাশ আর রক্তগঙ্গার ঢেউয়ের তীব্রতায় খুনি হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে। দেশ রাহুমুক্ত হয়েছে, গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সুগম হয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে গণতন্ত্রের নেত্রী চরম অসুস্থ; তাঁর সুস্থতার জন্য ধর্ম–বর্ণ–দল–মত নির্বিশেষে সবাই একবৃত্তে এসে উপনীত হয়েছে। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া, তাঁর সুস্থতার জন্য। দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে তাঁর উপস্থিতি অপরিহার্য।
অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন মোজাম্মেল হক, সেলিম ব্যাপারী চঞ্চল, আনিসুর রহমান শামীম, জুয়েল খান, শাখাওয়াত হোসেন সোহাগ, আসিফ ইকবাল ভূঁইয়া, আল আমিন রিয়াজ, নিয়াজ প্রমুখ।
বিপি/আইএইচ
জার্মানি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজার সভাপতিত্বে এবং জার্মানি বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ হাবিবের উপস্থাপনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য দেওয়ান শফিকুল ইসলাম।
এ সময় বক্তারা বলেন, আজ একটি বিশেষ ঐতিহাসিক দিন। ১৯৯০ সালের এই দিনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে, ছাত্র–জনতার তীব্র আন্দোলনের ফলে, অনেক রক্তের পিচ্ছিল পথ মাড়িয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছিল। কিন্তু যে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিলেন, সেই গণতন্ত্র আবার হরণ করেন শেখ হাসিনা নামের এক দানব শাসক। জনগণ হারায় বাক–ব্যক্তির স্বাধীনতা, কেড়ে নেওয়া হয় মৌলিক অধিকার, পদদলিত করা হয় মানবাধিকার। জোরপূর্বক ভুয়া ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে, বিরোধী দলের রাজনীতিবিদ নিধন আর ভিন্নমত দমন করে ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। আবার সেই গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে পথচলা ছিল অনেক কঠিন; স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা তাকে শারীরিক–মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেওয়ান শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আধিপত্যবাদী শক্তি ও স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ২০২৪-এর আগস্টে ছাত্র–জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে হাসিনা পালিয়ে গিয়েছেন। তবে পালিয়ে গিয়েও তাঁর প্রভুদের সহযোগিতায় দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই গণতন্ত্রকামী সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের মতপার্থক্য থাকবে, মত–মতভেদ থাকবে, কিন্তু স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবো।
সভাপতির বক্তব্যে মাসুদ রেজা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁর জীবন–যৌবন বিসর্জন দিয়েছেন বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের জন্য। স্বৈরাচারিণী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার এই মহান নেত্রী আজ মৃত্যু–শয্যায়। গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে সুদীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে ২৪–এর ছাত্র–জনতার তীব্র আন্দোলনে অসংখ্য লাশ আর রক্তগঙ্গার ঢেউয়ের তীব্রতায় খুনি হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে। দেশ রাহুমুক্ত হয়েছে, গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সুগম হয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে গণতন্ত্রের নেত্রী চরম অসুস্থ; তাঁর সুস্থতার জন্য ধর্ম–বর্ণ–দল–মত নির্বিশেষে সবাই একবৃত্তে এসে উপনীত হয়েছে। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া, তাঁর সুস্থতার জন্য। দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে তাঁর উপস্থিতি অপরিহার্য।
অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন মোজাম্মেল হক, সেলিম ব্যাপারী চঞ্চল, আনিসুর রহমান শামীম, জুয়েল খান, শাখাওয়াত হোসেন সোহাগ, আসিফ ইকবাল ভূঁইয়া, আল আমিন রিয়াজ, নিয়াজ প্রমুখ।
বিপি/আইএইচ
