‘খামারী নারীদের অবদান নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না’- মৎস্য উপদেষ্টা
খামারী নারীদের অবদান নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শনিবার (১ নভেম্বর) সিক্স সিজনস হোটেলে অনুষ্ঠিত সপ্তম সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ও ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) যৌথভাবে সম্মেলনটি আয়োজন করেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের প্রাণীজ প্রোটিনের বড় অংশ আসে মাছ, ডিম ও অন্যান্য প্রাণীজাত পণ্য থেকে, যা মূলত ক্ষুদ্র খামারিরা উৎপাদন করছেন এবং তাদের বেশিরভাগই নারী। কিন্তু তাদের এই অবদান নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এখনো যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ মূল্যায়নে শুধুই ইকোলজিক্যাল দৃষ্টিকোণ বিবেচনা করা যথেষ্ট নয়; মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকা, পরিচয় ও তাদের শ্রমের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিকেও মূল্যায়নের আওতায় আনতে হবে। জলজ জীববৈচিত্র্যে বাংলাদেশ অত্যন্ত সমৃদ্ধ—তাই প্রাকৃতিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং জেলেদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।’
সম্মেলনে ইউল্যাবের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ইমরান রহমান স্বাগত বক্তৃতা দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ইউল্যাব-এর বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সদস্য সাইদা মাদিহা মুরশেদ। মূল বক্তৃতা উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর শারমিন্দ নীলোরমী।
সেমিনারে বিভিন্ন নীতিনির্ধারক, উন্নয়ন সহযোগী ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
