৩০ নভেম্বরের আগেই ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি
টানা পাঁচ বছর ধরে ৩০ নভেম্বর বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আসছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ফলে প্রস্তুতি আগেভাগে শেষ হলেও নভেম্বরের শেষ দিনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়টি অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
এবার তা থেকে সরে আসছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। প্রস্তুতি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এ কারণে এবার নির্ধারিত (৩০ নভেম্বর) সময়ের আগেই ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।
পিএসসির পরীক্ষা শাখার (ক্যাডার) একাধিক কর্মকর্তা জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শূন্যপদের সংখ্যা জানিয়ে পিএসসিতে চিঠি পাঠিয়েছে। সেখানে ৩ হাজার ৪৬০টি শূন্যপদে ক্যাডার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী—শিগগির বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। প্রস্তুতি শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি হবে। ৩০ নভেম্বরের জন্য অপেক্ষা করা হবে না।
পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। কবে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যাবে, তা কমিশন সভায় ঠিক করা হবে। দ্রুততম সময়ে সেটা (বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ) করার চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, এবার বিসিএসে কত শূন্যপদে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে, তা জানতে চেয়ে গত সেপ্টেম্বরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল পিএসসি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসির সেই চিঠির জবাবে গত ২৩ অক্টোবর চাহিদাপত্র পাঠায়। তাতে ৪৭তম বিসিএসে ৩ হাজার ৪৬০টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
পিএসসির তথ্যানুযায়ী—এবারের শূন্যপদের সংখ্যাটি বিগত ১০টি বিসিএসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ৪৬তম বিসিএসে ৩ হাজার ১০০ পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি, যা বিগত ১০ বিসিএসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। সেই রেকর্ডও এবার ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
কোন বিসিএসে কত শূন্যপদ ছিল
সবশেষ ৪৬তম বিসিএসে শূন্যপদ ছিল ৩ হাজার ১০০টি। তার আগে ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯টি, ৪৪তম বিসিএসে ১ হাজার ৭১০টি, ৪৩তম বিসিএসে ১ হাজার ৮১৪, ৪১তম বিসিএসে ২ হাজার ৫২০, ৪০তম বিসিএসে ১ হাজার ৯২৯, ৩৮তম বিসিএসে ২ হাজার ২৪, ৩৭তম বিসিএসে ১ হাজার ২২৬, ৩৬তম বিসিএসে ২ হাজার ১৮০টি, ৩৫তম বিসিএসে ১ হাজার ৮০৩টি এবং ৩৪তম বিসিএসে ২ হাজার ১৫৯টি।
তবে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে প্রায় ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছিল। সাধারণ বিসিএসের সঙ্গে সেটিকে তুলনা করা হয় না বলে জানিয়েছে পিএসসি সূত্র।