সাড়ে ১০ ডিগ্রিতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল

Staff Reporter
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৬ এএম
সাড়ে ১০ ডিগ্রিতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল

অগ্রহায়ণের শেষ দিকেই যেন পৌষ মাসের কনকনে শীত জেঁকে বসেছে হিমালয় পাদদেশের জেলা পঞ্চগড়ে। দিন দিন এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানকার জনজীবন একরকম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রবিবার (৭ ডিসেম্বর), দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। এর আগে গতকাল শনিবার সকালেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এটিকেই চলতি শীত মৌসুমের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

গত কয়েক দিন ধরে তেঁতুলিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় হিমালয় থেকে আসা হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। ফলে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন তীব্র কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিললেও শীতের দাপট কমছে না। সারাদিন ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করে এবং শেষ বিকালে এর তীব্রতা আরও অনেক বেড়ে যায়। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে শ্রমজীবী মানুষজন কাজে বের হতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই অতিরিক্ত শীতবস্ত্র পরিধান করেও কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।

তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিরা। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে রোগীর ভিড় বেড়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, কেবল তারাই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

এছাড়াও, নিম্ন আয়ের বহু পরিবার এখন তীব্র শীতবস্ত্রের সংকটে ভুগছে।

জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান এই পরিস্থিতিতে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে জেলা প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকার বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে পঞ্চগড় জেলার জন্য শীতবস্ত্র সহায়তায় ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

এই বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে ইতোমধ্যে পাঁচটি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৬৪০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসকের মতে, চাহিদার তুলনায় এই সংখ্যা অনেক কম। তিনি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ৬৫ হাজার কম্বলের প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।